Friday, 21 February 2025

Andaman travel guide (Part 1 - Debasish Dey)

আন্দামান ভ্রমণ গাইড - Andaman ভ্রমন প্ল্যানিং গাইড.

আন্দামান ভ্রমণের ইচ্ছে সেই ছাত্রজীবন থেকে মনের মধ্যে গেঁথে ছিল। হোস্টেলে রুমমেটের বাবা আন্দামান পোস্টেড ছিলেন - ইন্ডিয়ান নেভিতে। ওর মুখ থেকে শোনা আন্দামানের অনেক গল্প। তাই গিন্নি যখন আন্দামানের কথা তুললো তখন দেরি না করে কেটে ফেললাম ফ্লাইটের টিকিট। 21st মার্চ'2018 যাত্রা , ফেরা 2nd এপ্রিল। পাঁচ মাস আগে কাটার জন্য কমেই হলো। এরপর চল্লো ট্যুর সাজানোর পালা। প্রথমেই ঠিক করেছিলাম যে নিজেরাই যাবো, ট্রাভেল এজেন্সি ছাড়া। শুরু হলো ইন্টারনেট সার্চ , ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রপ, নানা ট্রাভেল ব্লগ ঘাটা। ফেসবুক গ্রূপে পোস্টও করেছিলাম ট্যুর সংক্রান্ত সাহায্য চেয়ে। অনেকের কাছ থেকে খুব ভালো টিপস পেয়েছিলাম - তাদের মধ্যে *** Hazra , *** Bhakta খুব ভালো গাইড করেছিলেন।ঠিক করলাম প্রথম তিনদিন পোর্ট ব্লেয়ার , চতুর্থদিন নীল , পঞ্চম/ষষ্ঠ/সপ্তমদিন হ্যাভলক, পরের তিন দিন দিগলিপুর , শেষ দুইদিন পোর্ট ব্লেয়ার ফিরে বাকি যা থাকে দেখবো , তেরোতম দিনে ফেরার ফ্লাইট। সেইমতো পোর্ট ব্লেয়ার রামকৃষ্ণ মিশনে আগাম মেল পাঠিয়ে 21/22/23শে মার্চ থাকার ব্যবস্থা পাকা করা গেল। 24 th মার্চ নীল দ্বীপে Hawabill Nest resort এবং 25/26/27 th মার্চ হ্যাভলকে Dolphin Resort এ বুক করলাম মেল পাঠিয়ে এবং পরে আন্দামান ট্যুরিজমের অফিসে ব্যাংক ড্রাফট পাঠিয়ে। 28/29/30 th মার্চ দিগলিপুরের কালিপুর বিচের কাছে একটি নতুন রিসর্ট - Saddle Peak View Resort এ বুক করলাম মেল /whatsapp এর মাধম্যে । রিসর্ট মালিকের সাথে কথা বলে ঠিক করলাম যে হ্যাভলক থেকে 28th মার্চ জাহাজে করে রঙ্গত পৌছব। একটি গাড়ি আমাদের পিক-আপ করে রঙ্গতের স্পটগুলো দেখিয়ে রাত্রিবেলা রিসর্টে ড্রপ করবে। পরের দুইদিন দিগলিপুরে ঘোরা । শেষ দুদিন পোর্ট ব্লেয়ারে হোটেল ওখানে গিয়ে ঠিক করবো ভাবলাম। প্লান অনুযায়ী পোর্ট ব্লেয়ার - নীল এবং নীল - হ্যাভলক কোস্টাল ক্রুজে টিকিট অনলাইনে কেটে রাখলাম।হ্যাভলক - রঙ্গত সরকারি জাহাজের টিকিট কোনো এজেন্টকে দিয়ে কাটানোর প্লান করলাম। এরপর অপেক্ষা করার পালা। 
DAY - 1 (21st মার্চ)
সকাল 7:30 টার ফ্লাইট। ল্যান্ডিং এর সময় পোর্ট ব্লেয়ারের অসাধারণ ভিউ দেখতে দেখতে 9:30 টায় পৌঁছলাম। নেমে বাইরে বেরিয়ে অটো করে রামকৃষ্ণ মিশন। ব্যাগগুলো রুমে রেখে ছুটলাম মিশনের সামনের নীল সমুদ্র দেখতে। সমুদ্র দেখতে দেখতে চলে এলাম মেরিনা পার্কে। মেরিনা সি ভিউ রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করে aquarium দেখতে ঢুকলাম। অনেক রকমের মাছ , কোরাল দেখে চললাম Anthropological museum দেখতে। আন্দামানের প্রাচীন উপজাতিদের উপর মিউজিয়ামটি। ক্যামেরা জমা দিয়ে ঢুকতে হল। এরপর পাশেই IPT অফিসে গিয়ে পরেরদিনের Mahatma Gandhi Marine National Park বা Wandoor র পারমিট ও বোট টিকিট বুক করলাম। সেখান থেকে সোজা অটো করে সামুদ্রিকা মিউজিয়াম। অনেকটা সময় এখানে কাটিয়ে আবেরদীন বাজার এলাকায় কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করে ডিনার সারলাম বাবা বেঙ্গলি হোটেলে। এরপর রাজীব গান্ধী ওয়াটার স্পোর্টস কপ্লেক্সের মধ্যে রস আইল্যান্ডের মুখোমুখি একটা বেঞ্চ দখল করে অনেক রাত অব্দি সমুদ্রের হওয়া খেয়ে রুমে ফিরলাম।
DAY - 2 (22nd মার্চ)
ঘুম থেকে উঠে তৈরি হয়ে অটো করে সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছলাম । ভোর 5 , 5:50 , 6:40 র বাস আছে wandoor যাওয়ার জন্য। আমরা 5:50 র বাসে চেপে বসলাম। সাতটার মধ্যে MGMNP এর গেটে বাস পৌঁছে গেল। বাস আমাদের নামিয়ে চলে গেল wandoor beach এর দিকে। পাশেই কয়েকটা ভালো খাবার দোকান। ব্রেকফাস্ট করে  wandoor beach এর দিকে হাঁটা দিলাম। বেশ সুন্দর সাজানো বিচ । কিন্তু জাল দিয়ে ঘেরা। কয়েকদিন আগে কুমিরের দেখা পাওয়া গিয়েছিল এখানে। তাই এই ব্যবস্থা।  8:30 এ আমাদের বোট টাইমিং। তার আগে ফিরে এসে জলের বোতল ভাড়া করে পারমিট দেখিয়ে পার্কে প্রবেশ করা গেল । কিছুক্ষণের মধ্যে বোট চলে এলো jolly bouy island এ নিয়ে যাবার জন্য। প্রায় 40 মিনিট অসাধারণ যাত্রার পর পৌঁছলাম ছবির মতো সুন্দর ছোট্ট  jolly bouy island । বিচটা আরো ছোট। কমপ্লিমেন্টারি glass bottom ride র পর এক্সট্রা টাকা দিয়ে আরো অনেক্ষণ ride করলাম আমরা। আমাদের সময় snorkelling বন্ধ ছিল। এরপর কিছুক্ষণ সমুদ্রে স্নান করার পর বোট আমাদের আবার ফিরিয়ে আনল পার্কের জেটিতে। পাশেই Marine interpretation centre। লাঞ্চ করে বাসে করে ফিরলাম পোর্ট ব্লেয়ারে । সেলুলার জেলে অনেক্ষণ ধরে ঘুরলাম। গাইড চার্জ 200 টাকা। বেরিয়ে রাত 8:30 র লাইট এন্ড সাউন্ড শো বুক করে millenium clock এর পাস দিয়ে মেরিনা পার্কে গিয়ে হাওয়া খাওয়া ,তারপর aquarium র পাশে New Lighthouse Restaurant এ  ডিনার সেরে শো দেখতে সেলুলার জেলে ঢুকলাম। শো দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেল। হাঁটতে হাঁটতে মেরিনা পার্ক ধরে রামকৃষ্ণ মিশনে ফিরলাম ।
DAY - 3 ( 23rd মার্চ)
আজ দিন একটু দেরিতে শুরু হলো। প্রথমে গেলাম চাথাম স মিল ও ফরেস্ট মিউজিয়াম । গাইড চার্জ 50 টাকা।তারপর চাথাম জেটি থেকে ব্যাম্বুফ্লাট জেটি  ফেরি করে পেরিয়ে একটা অটো ভাড়া করলাম 500 টাকায় মাউন্ট হ্যারিয়েট ন্যাশনাল পার্কে নিয়ে যাওয়ার জন্য। প্রথমে কিছুটা রাস্তা সমুদ্রের ধার দিয়ে তারপর খাঁড়া চড়াই রাস্তা ধরে গাড়ি উঠে চল্লো। রাস্তায় মাঝে একটা জায়গায় গাড়ি থামালো ড্রাইভার। এই জায়গা থেকে তোলা নর্থ বে আইল্যান্ডের লাইট হাউসের ছবি আমরা পুরোনো 20 টাকার নোটের পিছনে দেখতে পাই। পার্কে ঢোকার আগে ফরেস্ট পারমিট করতে হলো ভোটার কার্ড দেখিয়ে। রাস্তায় কয়েকজন bird watcher বড়ো বড়ো ক্যামেরা নিয়ে পাখির ছবি তুলতে ব্যস্ত। একদম টপে দুটো ভিউ পয়েন্ট, বাথরুম, বসার ব্যাবস্থা , ফরেস্ট গেস্ট হাউস আছে। ভিউ পয়েন্টের থেকে সমুদ্রের দিগন্তবিস্তিত  অসাধারণ দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায় - ভিউ পয়েন্টের কাঠের মেঝেতে অনেক্ষণ বসে সমুদ্র দেখলাম। এছাড়া কালাপাথর বিচ যাওয়ার 2 km ট্রেকিং রুট আছে। অটো আমাদের আবার নামিয়ে দিল ব্যাম্বুফ্লাট জেটিতে। ফেরি পেরিয়ে বাসে করে সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডে ফিরে লাঞ্চ করে দুপুর 2:30 র বাসে চিড়িয়া তাপ্পুতে সূর্যাস্ত দেখতে গেলাম। চিড়িয়া তাপ্পুতে একটা biological park আছে। ব্যাটারিচালিত গাড়ির ব্যাবস্থা আছে পার্ক দেখানোর জন্য ।  সেটা দেখে নিয়ে সানসেট ভিউ পয়েন্ট গিয়ে সূর্যাস্ত দেখলাম। তবে রাস্তার উপর থেকেও খুব ভালো সূর্যাস্থ দেখা যায়। সন্ধ্যে 6 টার বাসে পোর্ট ব্লেয়ার ফিরে এলাম। বাস স্ট্যান্ডের উল্টোদিকে একটা হোটেলে ডিনার সারলাম। কিছুক্ষণ বাজারে ঘোরাঘুরি করে মেরিনা পার্কে হাওয়া খেতে বসলাম।
DAY - 4 (24th মার্চ)
সকালে রামকৃষ্ণ মিশনের ঘর ছেড়ে এলাম ফিনিক্স বে জেটিতে। কোস্টাল ক্রুজে চেপে সকাল 9 টার দিকে নীল পৌঁছলাম। জেটি থেকে বেরিয়ে একটা স্কুটি ভাড়া করে রিসর্ট পৌছালাম। ব্যাগ নামিয়ে দুপুরের লাঞ্চের অর্ডার দিয়ে চললাম ভরতপুর বিচে স্কুবা ডাইভিং করতে। স্কুবা করে ফিরে দুপুরের লাঞ্চ করে স্কুটি নিয়ে ছুটলাম সীতাপুর বিচের দিকে। বিচের একদম বামপ্রান্তে ন্যাচারাল কেভস আছে কয়েকটা । ডানদিকে ছোট জঙ্গল ,সেটা পেরোলেই সমুদ্রের মাঝে ছোট্ট আরো একটা দ্বীপ - ছোট নীল। এরপর চললাম লক্ষ্মণপুর II বিচে। এখন ভরা জোয়ার। প্রথম ন্যাচারাল ব্রিজ পর্যন্ত পৌঁছন গেল কিন্তু দ্বিতীয় ব্রিজ পর্যন্ত যাওয়া গেল না। এরপর লক্ষ্মণপুর I বিচে সূর্যাস্ত দেখতে গেলাম। আকাশ মেঘলা থাকায় সূর্যাস্ত ভালো করে দেখা না গেলেও আকাশে গোধূলির অসাধারণ রঙের ছটা দেখে রিসর্ট ফিরলাম।
DAY -5 (25th মার্চ)
ভোর 4 টায় ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে স্কুটি নিয়ে ছুটলাম  সীতাপুর বিচে সূর্যদয় দেখতে। সূর্যদয় হতে এখনো অনেকটা সময় বাকি। বিচ ধরে আমরা হাঁটতে শুরু করলাম। এখন ভাটার সময় - তাই ন্যাচারাল কেভস গুলো আরো ভালো করে দেখা সম্ভব হলো। বিচ ধরে হাঁটতে হাঁটতে এক অসাধারণ সূর্যদয় দেখলাম। এরপর আবার আমরা চললাম লক্ষ্মণপুর II বিচ। এখন ভাটার সময় - জল অনেকটা নেমে গেছে। পাথরের খাঁজে জামা জলে হরেক রকম মাছ , কাঁকড়া,সামুদ্রিক ছোট জীব ঘুরে বেড়াচ্ছে। জল আর পাথরের উপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছলাম দ্বিতীয় ন্যাচারাল ব্রিজে। রিসর্টে ফিরে ব্রেকফাস্ট করে জেটিতে পৌঁছলাম। আসার পথে স্কুবা সেন্টার থেকে পেন ড্রাইভে ছবি আর ভিডিও সংগ্রহ করলাম। স্কুটি জমা দিয়ে 10:30 র কোস্টাল ক্রুজে করে হ্যাভলক যাত্রা শুরু করলাম। নীলে যার কাছ থেকে স্কুটি নিয়েছিলাম সে হ্যাভলকে ফোন করে স্কুটির ব্যাবস্থা করে দিয়েছিল। ছেলেটি হ্যাভলক জেটিতে এসে স্কুটি দিয়ে গেল। জেটি থেকে রাধানগর ও কালাপাথর বিচ যাবার বাসও আছে । এরপর সোজা ডলফিন রিসর্ট - লাঞ্চের অর্ডার দিয়ে কালাপাথর বিচ দৌড়লাম। একদিকে নীল সমুদ্র অন্যদিকে পাহাড়ি জঙ্গল - ছোট্ট কিন্তু অসাধারণ রোডট্রিপ। কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে রিসর্টে ফিরে লাঞ্চ সারলাম। এরপর গন্তব্য রাধানগর বিচ। রাস্তায় সরকারি পেট্রোল পাম্প । পেট্রোলের দাম প্রায় 12 টাকা কম ওয়েস্ট বেঙ্গলের থেকে। ফুল ট্যাঙ্কি করে বিচে পৌঁছলাম। রাধানগর বিচ - এককথায় অসাধারণ, দুইদিকে অনেকটা প্রশস্ত সাদা বালির বিচ, বিচ শেষে সবুজ ঢাকা। বিচে কোনো পাথর নেই-স্নান করার জন্য আদর্শ। ঢেউ হালকা - কিছুটা যাওয়ার পর দিব্বি সমুদ্রে ভেসে থাকা যায়। কিন্তু  আকাশ মেঘলা - সূর্যাস্তর দেখা মিলল না। রাধানগরে খাবারের দাম খুব বেশি। চলে এলাম মার্কেট এরিয়াতে। বাসন্তী পুজো হচ্ছে বাজারে - সঙ্গে মেলা বসেছে -  গরম জিলিপি আর ফুচকা খেয়ে পেট ভরে গেল। পূজামণ্ডপে গিয়ে ঠাকুর প্রণাম করতে অনেকটা করে প্রসাদ দিলো। মেলাতে কিছুক্ষণ ঘুরে বেরিয়ে  রিসর্ট ফিরলাম। ডিনার পাশের রনি রেস্টুরেন্টে করলাম।
DAY -6 (26th মার্চ)
রিসর্টের সামনেই বিজয়নগর বিচ। ভোর 4:30 থেকে উঠে সামনের বিচে সূর্যদয় দেখলাম। তারপর বেরোলাম এলিফ্যান্ট বিচ যাবো বলে। রাধানগর যাওয়ার রাস্তায় রয়েছে এলিফ্যান্ট বিচ যাওয়ার ট্রেকিং রুট। মাত্র 1.8 কিলোমিটার। আমরা যখন যাই তখন কয়েকজন ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের লোক বিচে ট্রি হাউস বানাতে যাচ্ছিলো। তারাই পথ দেখিয়ে নিয়ে গেল বিচে। রাস্তায় এখনো সুনামির চিন্হ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। 8 টার সময় লাইফ গার্ডরা এলে শুরু হলো water activities । হ্যাভলক জেটি থেকে তখন বোটে করে প্রচুর ট্যুরিস্ট আসছে। এখানে snorkelling এবং স্নান করে ফিরে এলাম রিসর্টে। যে এজেন্টকে হ্যাভলক থেকে রঙ্গত যাওয়ার টিকিট কাটতে বলা ছিল সে জোগাড় করে উঠতে পারে নি। অতএব প্লান চেঞ্জ করতে হলো। দিগলিপুরের রিসর্ট মালিক সুজিৎবাবুর সাথে কথা বলে আগের গাড়ির বুকিং বাতিল করে পোর্ট ব্লেয়ার থেকে একটা গাড়ি ঠিক করলাম। জেটিতে গিয়ে 28th মার্চের পোর্ট ব্লেয়ার যাওয়ার ম্যাক্রুজের টিকিট বুক করলাম। রিসর্টে ফিরে লাঞ্চ করে বেরোলাম আবার কালাপাথর বিচে। ডলফিন রিসর্টে অবাঙালি ধাঁচের নিরামিষ খেয়ে খেয়ে হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। ঠিক করলাম পরের খাবার গুলো সব বাইরে খাবো। আকাশ মেঘলা - রাধানগর গিয়ে যে আজও সূর্যাস্ত দেখতে পাবো না - তাই কালাপাথরে সন্ধ্যে পর্যন্ত কাটিয়ে বাজারের দিকে এলাম। মেলাতে কিছুক্ষন ঘুরে বাজারের স্কুইড রেস্টুরেন্টে ডিনার সেরে রিসর্টে ফিরলাম। এই রেস্টুরেন্টে ফ্রী wifi - বেশ কয়েকদিন পর ভালোভাবে নেট করা গেল। 
DAY - 7 (27th মার্চ)
আজও ভোরে উঠে সূর্যদয় দেখে কিছুক্ষণ কালাপাথর ঘুরে এলাম। ব্রেকফাস্ট করে বেরিয়ে গেলাম রাধানগরের উদ্যেশ্যে। এই সময় কিছুটা ভিড় কম। ভরা রোদে সমুদ্রের নীল রং পুরোদস্তর ফুটে উঠেছে। দুপুর পর্যন্ত সমুদ্রে পরে থাকলাম। ফেরার পথে স্কুইড রেস্টুরেন্টে খেয়ে রিসর্টে ফিরলাম। ফ্রেশ হয়ে দেখি আবার আকাশের মুখ ভারী। বুঝলাম এই যাত্রায় আমাদের রাধানগরের সূর্যাস্ত ভাগ্যে নেই। অতএব আবার কালাপাথর বিচ এবং বিজয়নগর বিচে ঘোরাঘুরি করে রাত্রে অঞ্জু কোকো রেস্ত্রোতে ডিনার সেরে রিসর্ট ফিরলাম।
DAY - 8 (28th মার্চ)
সকালবেলায় যথারীতি স্কুটি নিয়ে চারিদিক চরকি মেরে রিসর্ট থেকে চেক আউট করলাম। 10:30 র মাক্রুজ। পোর্ট ব্লেয়ার পৌঁছতে 12:30 বাজলো। বাইরে বেরিয়ে গাড়িতে উঠলাম । রমলেশ বলে একটি ছেলে গাড়ি চালাচ্ছিলো । ছেলেটি একটি লোকাল ট্রাভেল এজেন্সির সাথে যুক্ত। গাড়ি ছুটে চল্লো ঝড়ের গতিতে - জিকার্তা থেকে শেষ কনভয় ধরতে হবে। দুপুর 2:30 র দিকে জিকার্তা পৌঁছে রমলেশ আই কার্ড নিয়ে দৌড়লো পারমিশন করাতে। এদিকে সামনের গোটা দশেক গাড়ি ছেড়ে দিয়েছে। তার পিছনে কয়েকটা ট্রাক। রমলেশ পারমিশন করিয়ে দৌড়ে দৌড়ে এসে গাড়ি ছাড়লো - ট্রাকের ও শেষে। একে স্পীড লিমিট 40km ,ট্রাকের পিছনে পরে সেটা 15-20 তে গিয়ে ঠেকলো।কিছুক্ষণ যাওয়ার পর উল্টোদিক থেকে মিডল স্ট্রেট থেকে 3 টের শেষ কনভয় পেরিয়ে গেল পাস দিয়ে। প্রচুর ট্যুরিস্ট ভর্তি গাড়ি - বুঝলাম বারতাং গেছিলো। কিছুটা যাওয়ার পর দেখলাম সামনের ট্রাককে থামিয়ে একজন নীল জামা পরা লোক অনেকগুলি জারোয়াকে ট্রাকের উপর তুলে দিলো। রাস্তার বামদিকে কয়েকটা ঝুপড়ি। বাচ্ছা কোলে মহিলা , পুরুষ , আরো কিছু বাচ্চা জারোয়া ছিল। ড্রাইভার বললো লোকটা নাকি জারোয়া প্রোটেকশন ফোর্সের পুলিশ বা গার্ড।এই রাস্তায় দুচাকার গাড়ি চলা মানা। একমাত্র দেখলাম জারোয়া প্রোটেকশন ফোর্সের পুলিশরা দুচাকার গাড়ি ব্যাবহার করছে। অল্প কিছুটা যাওয়ার পর  জারোয়ারা নেমে গেল। একজন জারোয়া একটি জুটের ব্যাগ বের করে ট্রাকের ড্রাইভারকে কিছু বললো। ড্রাইভার হাত নেড়ে না বললো। আমাদের গাড়ির সামনে এলে আমাদের হতভম্ব মুখের সামনে ব্যাগটা নাচিয়ে জারোয়াটি  হিন্দিতে বলে উঠলো "খানা ডালো"। কিছু বোঝার আগে রমলেশ গাড়ি চালিয়ে দিল। আরো কিছুটা সামনে গিয়ে দেখলাম উল্টোদিক থেকে ছোট টেম্পোর মাথায় আরো কয়েকজন জারোয়া আসছে। সামনে আরো কয়েকটা জায়গায় জারোয়া দেখলাম সঙ্গে জারোয়া পুলিশ ছিল। একটা জায়গায় কয়েকটা বাচ্চা জারোয়া হাত দেখিয়ে গাড়ি থামানোর খেলা খেলছিল। গিন্নির হতভম্ভ মুখের দিকে তাকাতে তাকাতে দুটো বাচ্ছা দৌড় লাগালো গাড়ির পিছনে পিছনে। একজন শিকারি জারোয়া, একজন জিন্স আর লাল গেঞ্জি পড়া জারোয়া , বাচ্চা কোলে মা জারোয়াকে দেখলাম রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে। আরো একটা জারোয়ার দল হাত দেখিয়ে ট্রাক থামানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু সঙ্গে জারোয়া পুলিশ না থাকায় ট্রাকটা দাঁড়ালো না। রাস্তায় পাশে জঙ্গলের ভিতরে একটা হরিণের দেখা পেলাম এক ঝলক। ড্রাইভার বললো মিডল স্ট্রেট থেকে 3 টের শেষ কনভয়টা সব থেকে বড় হয় কারণ বারতাং থেকে ট্যুরিস্ট ভর্তি গাড়ি অনেক থাকে। এই সময় জারোয়া পুলিশরা জারোয়ারা রাস্তার উপর যাতে চলে না আসে তাই পাহারা দেয়। ওই কনভয় চলে গেলে জারোয়ারা রাস্তার দিকে চলে আসে। আমরা ট্রাকের পিছনে পরে এত পিছিয়ে পড়েছিলাম যে আমাদের ভাগ্যে অনেক জারোয়ার দেখা মিলল। মিডল স্ট্রেট পৌঁছতে প্রায় পৌনে পাঁচটা বেজে গেল। ফেরি পেরিয়ে গাড়ি আবার ছুটে চল্লো। কদমতলাতে 2 নং চেক পোস্টে এসে গাড়িকে আরো কিছুক্ষণ দাঁড়াতে হলো আরো একটা গাড়ির জন্য। কারণ ওই সময়ে একটা গাড়িকে দ্বিতীয় জারোয়া রিজার্ভ এলাকা দিয়ে একা যেতে দেবে না। ওটা পেরিয়ে রঙ্গত পৌঁছলাম। রঙ্গতে একটা রেস্তোরাঁয় ঢাকাই বিরিয়ানি দিয়ে ডিনার করে আবার যাত্রা শুরু। রাত্রি 1 টা নাগাদ পৌঁছলাম কালিপুর - saddle peak view resort এ। গিয়েই ঘুম।
DAY - 9 (29th মার্চ)
ঘুম থেকে উঠে গেলাম ব্রেকফাস্ট করলাম। রিসর্টের রান্না অসাধারণ - সেটা ব্রেকফাস্ট হোক বা লাঞ্চ বা ডিনার। জোয়ার ভাটার সময় জেনে 10 টার দিকে বেরোলাম রস আন্ড স্মিথ আইল্যান্ড যাওয়ার জন্য। Aerial Bay জেটি থেকে বোট ভাড়া করে আর ফরেস্ট পারমিট নিয়ে ফাইবার বোটে চড়ে বসলাম। অসাধারণ সুন্দর গোছানো আইল্যান্ড দুটো। বিচটাও অসাধারণ। মাঝের স্যান্ডবারে জলে পা ডুবিয়ে ঘুরে বেড়াতে দারুন ভালো লাগবে। ট্রি হাউস , বিচ হাট , শোয়া বসার সুন্দর ব্যাবস্থা , সঙ্গে বাথ আর চেঞ্জ করার আলাদা রুম। 2 ঘন্টা কাটানোর পর ফিরে এলাম জেটিতে। দিগলিপুর বাজারে একটা হোটেলে লাঞ্চ করে চললাম শ্যামনগর আক্টিভ মাড ভলকানো দেখতে। রাস্তায় দেখলাম সব বাড়ির সামনে জলের ড্রাম  - এই এলাকাতে এখনো পাইপের লাইন আসে নি , ট্রাকে করে জল বাড়ির সামনে রাখা ড্রামে দিয়ে যায়। বেশ কয়েকটা  জায়গা জুড়ে ক্লাস্টার করে আছে মাড ভলকানোগুলি। মাড ভলকানো থেকে কিছুটা কাদা একটা বোতলে পুরে নিয়ে চললাম সঙ্গে। এরপর রিসর্টে ফিরে রাত্রের খাওয়া সেরে কালিপুর বিচে turtle nesting দেখতে গেলাম। এখন সিজিন শেষ - তবে হ্যাচারিতে অনেকগুলো ডিম পোতা আছে। উপরে মার্কিং করে turtle র প্রজাতি , তারিখ ইত্যাদি লেখা আছে। জ্যোৎস্না রাত্রে বিচে ঘুরে বেড়াতে মন্দ লাগছিলো না। সামনেই ক্রেগী আইল্যান্ড। বেশ কিছুক্ষণ কাটিয়ে কোনো কচ্ছপের দেখা পেলাম না। ফিরে এলাম রিসর্টে।
DAY -10 (30th মার্চ)
ভোরে ওঠে চললাম কালিপুর বিচে সূর্যদয় দেখতে। সামনের ক্রেগী আইল্যান্ডের উপর দিয়ে সূর্যদয় দেখলাম। ক্রেগী আইল্যান্ডে সাঁতার কাটবার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু কুমিরের ভয়ে সেই ইচ্ছে বিসর্জন দিতে হলো। রিসর্টে ফিরে চললাম Alfred's Cave দেখতে। সাথ দিলেন রিসর্ট মালিক সুজিৎবাবু। রামনগর বাস স্ট্যান্ড থেকে আরো দেড় কিলোমিটার যাওয়ার পর একটি সরু পায়ে হাঁটা রাস্তা ঢুকে গেছে জঙ্গলের ভিতরে। কিন্তু বনদপ্তরের কোনো সাইনবোর্ড ঝোলানো নেই। প্রায় 4 কিলোমিটার ঘন জঙ্গলের ভিতর দিয়ে হাঁটার পর পৌঁছলাম Alfred's Cave এ। আগে 41 টা গুহা ছিল। ভূমিকম্পর পর এখন 28 টি গুহা আছে। এলাকা টিকে ঘিরে 18 জন ফরেস্ট গার্ড দিনরাত্রি পাহারা দেয়। এই সময় এই গুহাগুলিতে swiftlet/Hawabill পাখি বাসা বেঁধে ডিম দেয় - তাই এই গার্ডের ব্যাবস্থা। এই পাখির বাসাগুলি স্যুপ করে খাওয়া হয়  কিংবা হাঁপানির ঔষধ হিসেবে ব্যাবহৃত হয়। Alfred's cave আমাদের স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ফেরার সময় রামনগর বিচে কিছুক্ষন সময় কাটালাম। বিচটা সুন্দর সাজানো গোছানো। বিকেলে গেলাম ল্যামিয়া বে বিচে। মরসুমের প্রথম পাকা আমের স্বাদ বিচ সংলগ্ন গাছ থেকে পরে থাকা পাকা আম দিয়ে করলাম। সময়ের অভাবে saddle peak ট্রেক হলো না।  
DAY - 11 (31st মার্চ)
ভোর 4 টের সময় আমরা বেরিয়ে পড়লাম। প্রথম স্টপ Austin Bridge । এরপর Dhaninalla Mangrove Walkway - ম্যানগ্রোভের জঙ্গলের ভিতর দিয়ে 732 মিটার লম্বা কাঠের তৈরি walkway । বিভিন্ন ম্যানগ্রোভের নাম লেখা রয়েছে বোর্ড দিয়ে। walkway র উপরে রয়েছে বসার ব্যাবস্থা। একদম শেষে সুন্দর সাজানো Dhaninalla বিচ।  এখানেও সুন্দর বসার ব্যাবস্থা ,বিচ হাট, বাথরুম আছে।এরপর Morris Dera তে পৌঁছলাম। এখানে natural rock formation আছে - তার মধ্য দিয়ে ছোট্ট walkway তৈরি করা , সুন্দর horizon sea view  পাওয়া যায় এখান থেকে। জায়গাটা ছিমছাম করে সাজানো। এরপর পৌঁছলাম আমকুঞ্জ বিচ। গাছের গুঁড়ি দিয়ে চেয়ার টেবিল বানানো। রয়েছে একটা ভিউ পয়েন্ট - গাছের উপর ট্রি হাউসের মতো করে সাজানো। দূর্দান্ত emerald & blue ভিউ পাওয়া যায় এখান থেকে। এরপর পোর্ট ব্লেয়ার ফেরার পালা। বিকেল 3 টের শেষ কনভয় ধরলাম মিডল স্ট্রেট থেকে। রিজার্ভ ফরেস্ট দিয়ে আসার সময় এবারো কিছু জারোয়া দেখলাম। তবে সংখ্যায় অনেক কম। দুটি বাচ্চা জারোয়া এবারো দেখি কনভয়ের সাথে দৌড়োচ্ছে। জিন্স আর লাল গেঞ্জী পড়া জারোয়াটিকে দেখলাম একটা ট্রাকের মাথায় চেপে পিঠে ব্যাগ নিয়ে চলেছে। একজন বুড়ো আর একজন শিকারি জারোয়া রাস্তার মাঝবরাবর দাঁড়িয়ে সব গাড়িগুলোকে থামিয়ে হাত লাগাচ্ছিল। পোর্ট ব্লেয়ার ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। হোটেল ড্রাইভার রমলেশকে ঠিক করে দিতে বলেছিলাম। দেলানিপুর জ্যাংসানে হোটেল। পাশেই new anumod bakery & food court । অসাধারণ স্বাদের একটা বিরিয়ানি খেলাম ফুড কোর্টে।
DAY - 12 (1st এপ্রিল)
সকালে উঠে হোটেল থেকে হেঁটে হেঁটে চলে এলাম জংলীঘাট জেটিতে। সুনামি মার্কেটে একটা দোকানে ব্রেকফাস্ট করলাম। নর্থ বে আর রস আইল্যান্ড ট্যুরের জন্য বোট টিকিট বুক করলাম। প্রথমে নর্থ বেতে গিয়ে sea walk করলাম। এরপর রস আইল্যান্ড নিয়ে গেলো। প্রচুর ময়ূর আর হরিণ ঘুরে বেড়াচ্ছে। একটা ময়ূরের পেখম মেলা দেখতে পেয়েছিলাম। পুরো আইল্যান্ড ঘুরতে 1 ঘন্টা লাগলো। রস আইল্যান্ডের সাউন্ড এন্ড লাইট শো আজ বন্ধ ছিল -দেখা হলো না। সন্ধ্যে বেলায়  মেরিনা পার্কে সমুদ্রের হাওয়া খেতে গেলাম। রাত্রে আবার new anumod এ বিরিয়ানি দিয়ে ডিনার সেরে রুমে ফিরলাম।
DAY - 13 (2nd এপ্রিল) 
আজ 9:20 র ফ্লাইটে কলকাতা ফেরা। এক অসাধারণ ছুটি কাটিয়ে ফিরলাম আন্দামান থেকে। অনেক জায়গা দেখা হয়ে উঠলো না যেমন মায়াবন্দর , লং আইল্যান্ড ইত্যাদি। সেটা পরের বারের জন্য তোলা রইলো।
ভ্রমণ শেষ - এবার হিসাব নিকাশের পালা :-
হিসেব আমাদের দুজনের :- (21st মার্চ - 2nd এপ্রিল'2018)
1. কোলকাতা ও পোর্ট ব্লেয়ারের মধ্যে দুদিকের বিমানভাড়া - ইন্ডিগো মোবাইল aap থেকে অনলাইনে বুক করা - 16512/-(দুজনের)
2. পোর্ট ব্লেয়ার - নীল আর নীল - হ্যাভলক কোস্টাল ক্রুজ এবং হ্যাভলক - পোর্ট ব্লেয়ার মাক্রুজ। দুজনের প্রিমিয়াম ক্লাস টিকিট মোট - 6556/-
3. দ্রষ্টব্যঃ মিউজিয়াম , ন্যাশনাল পার্ক ,সেলুলার জেল ইত্যাদি জায়গার এন্ট্রি টিকিট বা ফরেস্ট পারমিট 10 থেকে 50 টাকা জনপ্রতি। প্রসঙ্গত বলে রাখি সেলুলার জেল এবং রস আইল্যান্ডের লাইট এন্ড সাউন্ড শোর টিকিট একমাত্র অনলাইনে বুক করা যায়। পোর্ট ব্লেয়ারে ইন্টারনেট জঘন্য।  তাই এখান থেকে andaman tourism র সরকারি ওয়েবসাইট থেকে দুইদিন আগে বুক করে একদিন আগে IPT অফিসে গিয়ে বুকিং স্লিপ দেখিয়ে টাকা জমা দিলে টিকিট দিয়ে দেবে ওরা। নইলে কাউন্টারের বাইরে জঘন্য রকমের স্লো wifi দিয়ে টিকিট কাটতে দম বেরিয়ে যাবে। আর wandoor এর এন্ট্রি পারমিট একমাত্র IPT অফিস থেকেই ইস্যু হচ্ছে - wandoor এর কাউন্টার থেকে টিকিট দেওয়া বন্দ আছে।
4. পোর্ট ব্লেয়ার ছোট শহর - অটো বা বাসে করে ঘোরা যায়। অটো ভাড়া 20 থেকে 50 টাকা শর্ট ডিস্টেন্স। বেশি দূর হলে অটো 100 টাকা পর্যন্ত ভাড়া চায়। বাসে wandoor বা চিড়িয়া তাপ্পু 24 টাকা জনপ্রতি। ফেরি টিকিট 10 থেকে 15 টাকা। ফেরিতে চার চাকার ছোট গাড়ি 115 টাকা। গাড়ির আকার অনুযায়ী ফেরির টিকিট কম বেশি হয়।
5. গাড়ি ভাড়া করে নর্থ এন্ড মিডল আন্দামান গেলে এবং গাড়ি সঙ্গে থাকলে প্রায় 3000 থেকে 3500 টাকা প্রতিদিন হিসেবে খরচ পড়বে। 
6. Wandoor এ বোট ভাড়া 750/-  জনপ্রতি। নর্থ বে এন্ড রস আইল্যান্ড বোট ভাড়া (নন এসি) 560/- জনপ্রতি। AC বোট ও লাক্সারি বোট আছে। খরচ বেশি পরে তাতে। রস এন্ড স্মিথ আইল্যান্ডে বোট ভাড়া 3500/-  6-8 জনের। দুজন গেলেও এক খরচ। বেশি জনের জন্য বড় বোট আছে 4500 - 5000 /- প্রতি বোট। ওখানে 2 ঘন্টা থাকবে। প্রতি ঘন্টা এক্সট্রা থাকলে 400/- ঘন্টাপ্রতি।
7. নীল ও হ্যাভলকে স্কুটি ভাড়া 500/- চব্বিশ ঘন্টায়। পেট্রল নিজের। ডিলারের কাছ থেকে নিলে 80/- প্রতি লিটার , সরকারি পাম্প থেকে নিলে 62/- প্রতি লিটার।
8. খাবার খরচ একটু বেশি পরে আন্দামানে। প্রতিদিন 500/- প্রতিজন ধরে রাখতে পারেন। অধিকাংশ হোটেল বা রিসর্ট কপ্লিমেন্টারি ব্রেকফাস্ট দেয়। বড় রেস্টুরেন্টে খেলে খরচ অবশ্য বেশি পড়বে।
9. Hawa bill resort সেমি ডিলাক্স এসি রুম 1000 /- প্রতিরাত্রি + 12% GST, Dolphin resort সেমি ডিলাক্স এসি রুম প্রতিরাত্রি 2000/- +12% GST , Saddle peak view resort এসি ডিলাক্স রুম 1750/- প্রতিরাত্রি - এটা direct বুকিং ছিল বলে। রামকৃষ্ণ মিশনে কিছু fixed minimun donation নেয়। রুমগুলি নন-এসি কিন্তু বড়ো এবং চার শয্যাবিশিষ্ট ,সবথেকে ভালো আশ্রমের পরিবেশ। দেলানিপুর এ হোটেল শালিমার 1400 /- প্রতিরাত্রি। হোটেলটি আমার যদিও খুব একটা ভালো লাগে নি ।
10. স্কুবা ডাইভিং 3500/- জনপ্রতি (shore dive), boat dive 4200 - 4500 /- জনপ্রতি। sea walk 3500/- জনপ্রতি। এটা নর্থ বে এবং elephant বিচে হয়। snorkelling 500 -1000/- প্রতিজন - জায়গা বিশেষে কম বেশি হয়। Glass bottom boat ride 300 - 1000/- প্রতিজন - সময় কম বেশি অনুযায়ী। এছাড়া নর্থ বে দ্বীপে dolphine boat ride এবং semi-submarine coral safari আছে। আমাদের ট্যুরটা পুরোপুরি নিজেদের সাজানো। কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ হলো। উনারা ল্যান্ড প্যাকেজে গিয়েছেন 8 জন মিলে। 6 নাইট - 14000/- জনপ্রতি। হোটেল সঙ্গে ব্রেকফাস্ট , ইন্টার আইল্যান্ড জাহাজ ভাড়া এবং গাড়ি (বারতাং বাদে)। এছাড়া বেশি দামি হোটেলে থাকার জন্য অনেকে একই প্যাকেজ 18000-20000/- জনপ্রতি গেছেন।
আন্দামান নিজেরাও প্লান করে যেতে পারেন। নিজেরা ঘোরার মজাই আলাদা। পারলে স্কুটি করে নীল ও হ্যাভলক ঘুরে বেড়াবেন - যতবার খুশি বিচগুলোতে ঘুরতে পারবেন নিজের মতো সময় করে। বিশেষ করে সীতাপুর বিচ এবং কালাপাথর বিচ যাবার রোড ট্রিপ পূর্ণমাত্রায় উপভোগ করতে পারবেন। যদিও রাধানগর বিচ যাবার রাস্তা অনেকটাই খারাপ। আন্দামানে একমাত্র মিডল স্ট্রেট ছাড়া কোথাও পেড পার্কিং দেখলাম না। আর মন খুলে বাংলায় কথা বলুন - হয়তো দেখবেন আপনার এলাকারই কোনো লোকের সাথে পরিচয় হয়ে গেছে ।

আন্দামানে সব চাইতে ছোট দ্বীপ কোনটি,যেখানে গেলে থাকা যাবে?কারন আমার মনে হয়েছে দ্বীপ যত ছোট হবে,সেখানে থাকার আনন্দ তত বেশী।

Yerratta jetty থেকে দিনে দুইবার ফেরি সার্ভিস আছে long island যাওয়া আসার । এছাড়া পোর্ট blair থেকে রঙ্গতগামী জাহাজগুলো long island হয়ে আসে । ফরেস্ট গেস্ট হাউস আছে আর blue planet resort আছে । আমি কথা বলেছিলাম । কিন্তু itenaries এর ভিতরে ঢোকাতে পারি নি।.

prothom 3 din Ramkrishna mission e thekechi .. mail pathiye okhankar bhakta niwas e thakar permission korate hoechilo ... mail id

portblairrkm@gmail.com

http://www.portblairrkm.org/

প্রায় চার মাস আগে মেইল করেছিলাম http://www.portblairrkm.org/

ওরা ডিটেলস জানতে চেয়ে মেইল করে .. আমি আবার মেইল করে সব ডিটেলস জানাই এবং কতদিন লাগবে জানাই .... তখন আমার জন্য ভক্ত নিবাসে রুম বুক করে রাখে ওরা ..

Dolphin resort , hawbill nest , & turtle resort ki bhabe book korlen ektu janaben kotodin agge book korte hoi

Apnake mail korte Andaman tourism r office e ... Email id - accommodation6@gmail.com ...Apnake details janate hobe ..Kotojon jaben ..Kota room lagbe .. kobe theke kobe .. ettadi ..Kinba call korte hobe

TOURIST INFORMATION CENTRE
PORT BLAIR
SOUTH ANDAMAN - 744101
PHONE NO: 03192- 232694
website: www.andamans.gov.in or www.and.nic.in

TOURIST INFORMATION CENTRE
PORT BLAIR
SOUTH ANDAMAN - 744101
PHONE NO: 03192- 232694
website: www.andamans.gov.in or www.and.nic.in

Erpor ora apnake janabe je oi time period e room khali ache kina ... Thakle ki type r room khali ache (dolphin)...Erpor apni bolle 15 diner jonno oi room booking lock kore debe ora ... Tar modhye apnake 50℅ of total rent  demand draft kore pathate hobe .. demand draft pele ora confirmation slip by mail pathiye debe

Dolphin resort e duto wing ache....Ekta tourism samlay ...Ekta ANIIDCO samlay .. otate through website book kora jai

http://aniidco.and.nic.in

Bes details ghurechen...koekta kotha boli...
Mayabunder e ekdin govt rest house e bse thaka jay... Ar rangat theke long island tour kora jay..
Ar morice dera miss krechen
Ar little andaman jawa jay.. jdio khb kstokor... 

Courtesy: Indian Roadie Debasish Dey 

No comments:

Post a Comment