Sunday, 20 October 2019

Rasogollas of Pahal (near Cuttack) by Argha Mukherjee in October 2019










পাহালা/ Pahala - পৃথিবীর সর্ববৃহৎ রসগোল্লা মান্ডি. National Highwayর দুধারে বিস্তৃত এই জগদ্বিখ্যাত রসগোল্লা বাজারে প্রায় 100 দোকান আছে, যার ওপর নির্ভর করে থাকেন প্রায় 400 জন মানুষ.
এবং শুধু রসোগোল্লাই নয় এখানে আরো পাওয়া যায় ছেনাগজা আর ছেনাপোড়া যা প্রতিটিই স্বকীয়তায় অনন্য.
পাহালায় রসগোল্লা দু রকমের হয়ে থাকে, চিনির ও গুড়ের এবং এই দু ধরণের রসগোল্লাও দুই সাইজে পাওয়া যায়. বড়ো সাইজের রসগোল্লাগুলির দাম 12 টাকা আর অপেক্ষাকৃত ছোট সাইজের গুলির দাম 5 টাকা করে.
কলকাতা তথা বঙ্গের রসগোল্লার সঙ্গে কলিঙ্গ (ওড়িয়া) ধারার রসগোল্লাগুলি স্বাদ ও বর্ণে কিছুটা ভিন্ন. কলকাতায় যেমন সাদা স্পঞ্জ রসগোল্লার প্রাধান্য, উড়িয়া মোদকেরা রসোগোল্লায় হালকা ছোট এলাচ ব্যবহার করেন. আর সিরা বা চিনির রসটাও তুলনামূলকভাবে হালকা মনে হলো.
প্রতিটি জায়গায়, বিভিন্ন আঞ্চলিক মিষ্টির ক্ষেত্রে যেমন কোনোও না কোনোও এক "আদি ও অকৃত্রিম" দোকান থাকে, প্রচারের আলো থাক বা না থাক স্বাদে, গুণে যা অন্যদের অনায়াসে টেক্কা দিতে পারে. পাহালায় সেই অর্থে "আদি অকৃত্রিমের" দাবিদার সব দোকানই. ( অন্তত আমার তথ্য অনুযায়ী ...... আমি স্থানীয় একজনের সাথে গিয়েছিলাম, এবং স্বভাবতই তাঁর ওপর নির্ভর করতে হয়. আমি এ দাবী করবোনা আমি যে দোকানে গিয়েছিলাম সেটিই সেরা, বরং আমি নির্ভর করবো ভোজনরসিক পাঠকের অভিজ্ঞতার ওপর. ) আমি গিয়েছিলাম "শুন্য মন্দির সুইট শপে" ( নামটা কেমন haunting না? ) দোকানদারের সঙ্গে যা কথাবার্তা হলো, পাহলার রসগোল্লা মান্ডিতে প্রায় 100টি দোকান আছে. সম্প্রতি ওড়িশা সরকারের তরফ থেকে Higway সম্প্রসারণের কাজ চলতে থাকায় দোকানগুলি বিভিন্ন ক্লাস্টারে ছড়িয়ে পড়েছে. প্যাকেজিং থেকে বিপণন দোকানগুলিতে প্রচুর উন্নতির সুযোগ আছে, মানুষগুলি আশা করেন ভবিষৎতে সরকারের তরফ থেকে হয়তো তাঁদের আরো সুযোগ সুবিধা মিলবে, এমনকি হয়তো দূর ভবিষৎতে পাহালকে কেন্দ্র করে কোনো মিষ্টি হাবও গড়ে উঠতে পারে.
যাইহোক, পাহালায় না থাকলেও ওড়িয়া ধারার রসগোল্লার প্রাণপুরুষ বিকালান্দা করের বিখ্যাত মিষ্টির দোকান আজ সালেপুরের সীমানা ছাড়িয়ে ভুবনেশ্বর সহ ওড়িশার বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে.
আমি ভুবনেশ্বরের গৌতম নগর থেকে প্রায় পৌনে বারোটা নাগাদ পাহালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিলাম. কটক রোড হয়ে পাহাল পৌঁছাতে সময়
লাগলো প্রায় 30 মিনিট.
ভুবনেশ্বর ও কটকের প্রায় মাঝামাঝি ( ভুবনেশ্বর থেকে দূরত্ব 11.3 কিলোমিটার ) পাহালা খাদ্যরসিক তথা মিষ্টিপ্রেমীদের কাছে যেন এক কল্পরাজ্যের হাতছানি.
ছোটবেলায় পড়া অমর শিশুসাহিত্যিক গ্রীম ভাইদের লেখা "হানসেল ও গ্রেটেলের" গল্পের মতো আমারও, পাহালা রসগোল্লা মান্ডিতে এসে মনে হচ্ছিলো আমিও যেন হঠাৎ করে সেই ছোট্ট দুই ভাই বোনের মতো হাজির হয়েছি রূপকথার সেই কেক, কুকিজ, ক্যান্ডি ও চকলেট দিয়ে তৈরী বাড়িটির সামনে. কিন্তু, গল্পের সেই দুষ্টু ডাইনি বুড়ির মতো আমার রোগ, Diabetes আমাকে সমানে শাসিয়ে যাচ্ছিলো.

Photo and text courtesy: Argha Mukherjee in October 2019

No comments:

Post a Comment