Friday, 4 August 2023

Bengal Trails - Baba Borokachari Shiv Mandir, Vill: Jhikurberia, PS: Bakrahat, South 24 Parganas, WB
















Baba Borokachari Shiv Mandir, Village: Jhikurberia, Police Station: Bakrahat, South 24 Parganas district, West Bengal. 

Location: Approximately 10 kms from Thakurpukur Bazaar on Diamond Harbour Road (NH117), Kolkata. 
বাবা বড় কাছারি – শিব স্থান ।

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিষ্ণুপুর এর বাখরহাট থানার ঝিকুরবেড়িয়া গ্রামে এই অঞ্চলের বিখ্যাত শিব মন্দির । 

Here goes the fabled/ legendary background of the Shiv Mandir (temple)  .... 

পৌরাণিক তথ্য বলে এই অঞ্চলে একসময় বাবা ভূতনাথের কাছারি অর্থাৎ বিচারসভা বসতো গভীর রাতে । এবং সে বিচার ছিল চুলচেরা । সব অন্যায়ের প্রতিকার হত । তাই মানুষজন এ জায়গার নাম রাখে “ বাবা বড় কাছারি ”।
স্থানীয় লোকেদের কথায় মন্দিরের যে ইতিহাস জানতে পাওয়া যায় তা হল ১৭৪০ খৃস্টাব্দে আলীবর্দী খানের শাসনকালে মারাঠাদের আক্রমন হয় এই অঞ্চলে । তাদের দৌরাত্মে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ তৎকালীন এই অঞ্চলে থাকা জঙ্গলে আত্মগোপন করে । স্বভাবতই সেই অনভিপ্রেত বনবাস কালে তারা বিভিন্ন ধরণের আপদ বিপদের সম্মুখীন হত । খুবই অসহায় তারা । এমতাবস্থায় সেখানে এসে হাজির হলেন এক সাধুপুরুষ । তিনি সেখানেই তাদের সাথে বসবাস করতে শুরু করেন । ক্রমে ক্রমে তিনি এই বিপদগ্রস্ত মানুষ গুলির নির্ভরস্থল হয়ে ওঠেন । যার যা কিছু সমস্যা হয় সাধুবাবার কাছে গিয়ে নিবেদন করলে অদ্ভুতভাবে তার সমাধান হয়ে যায় । বারবার এই ঘটনা দেখবার পর তাদের বিশ্বাস হয় যে ইনি কোন সাধারণ সাধু নন । বরং স্বয়ং ভোলানাথ তাদের রক্ষায় আবির্ভূত হয়েছেন । তারা সাদরে সেই সাধুবাবার সান্নিধ্য অনুভব করতে থাকলো । এবং তাঁর মৃত্যুর পরে ঠিক করলো মৃতদেহ সমাধি দেওয়া হবে । সর্বসম্মতিক্রমে সেখানে তাঁকে সমাধি দেওয়া হল । ক্রমে সেই  সমাধির উপর একটি অশ্বত্থ গাছ জন্মালে সেই গাছটিকে তারা ভোলানাথের প্রতিভূ রূপে পূজা করতে শুরু করে । ধীরে ধীরে মন্দির নির্মিত হয় এবং তার নাম লোকমুখে দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে । পরবর্তী কালে গাছটির গোঁড়ায় শিব লিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত হয় স্থানীয় ভক্তজনের উৎসাহে । 
প্রতিটি মন্দিরের কিছু নিজস্ব বৈশিষ্ট্য থাকে । এটিও ব্যতিক্রমী নয় । এখানে বিশ্বাসী ভক্ত মানুষজন কাগজে নিজের মনস্কামনা বা বিপদের কথা জানায় লিখে । সেই কাগজ লাল সুতো দিয়ে গাছটির চারদিকে যে রেলিংয়ের ঘেরা তাতে বেঁধে দেয় । গোটা রেলিংটি কাগজে ভরে আছে বহু মানুষের করুন আকুতি নিয়ে । দোকানে বিভিন্ন দামের লিখিত কাগজ ও পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন দামের । তাতে নিজে লিখে বেঁধে দিতে হয় । পেন ও দোকানদারই দিচ্ছেন । শনি এবং মঙ্গলবার হাজার মানুষের ঢল নামে । ১৭ ই শ্রাবণ বাবার জন্মতিথি তে জনপ্লাবন ঘটে বলে জানতে পারলাম ।
নিঃসন্তান দম্পতিরা পুজো দিয়ে আশপাশের দোকান থেকে মাটির গোপাল কিনে বাড়ি নিয়ে গিয়ে তার পুজো দেন । এরপর পুত্র হলে গোপাল অথবা কন্যা হলে রাধারানী দিয়ে পুজো দেন । সুন্দর করে সাজিয়ে নিয়ে আসে সেই সন্তান দের । এমন কি ছোট ছোট পাল্কি তে করেও সাজিয়ে আনে ফুলের বিছানায় , ফুলের সাজে । আবার অনেকে সন্তানের সমান ওজনের বাতাসা দিয়ে পুজো দেন । এগুলো স্থানীয় রীতি । 
কোন অবিবাহিত ছেলে বা মেয়ে মনস্কামনা জানানোর পরে আশীর্বাদ প্রাপ্ত হলে বিবাহিত হওয়ার পরে মন্দিরে এসে হর পার্বতী দিয়ে পুজো দেয় । 
মন্দিরের কাছে একটি পুকুর রয়েছে । সেখান থেকে সকলে পুজোর জল নিয়ে যায় মন্দিরে । দন্ডিও দেয় পুকুরে স্নান করে উঠে । 

Centering around the temple a small business hub for food, puja offering, plastic items, etc thrives. 

মন্দির কে কেন্দ্র করে একটি ব্যবসায়িক পরিবেশ গড়ে উঠেছে । ফুল , বাতাসা , গোপাল রাধারানী, মাদুলি , মনস্কামনা জানাবার কাগজ যেমন বিক্রি হচ্ছে ঠিক তেমনই হিঙের কচুরী , চপ ,  সিঙ্গারা , পেটাই পরোটা , ল্যাংচা র দোকানের ও রমরমা । তাই শিবপুজার পরে পেটপূজার বেশ মনোরম বন্দোবস্ত রয়েছে । 

Photos and text courtesy: Childhood friend and sister Modhumita Zamindar 
* Bengal Trails 
* Bengal Roadie 

No comments:

Post a Comment